ভুমি উন্নয়ন কর (খাজনা) সংক্রান্ত বিধানাবলী
ভূমি উন্নয়ন কর/খাজনা কি?
কোনো জমি ভোগ দখলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সরকারকে প্রতি শতাংশ জমির জন্য প্রতি বছর যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হয় তাকেই ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা বলে ৷
খাজনা সংক্রান্ত অধিকার
খাজনা প্রদান করে দাখিলা গ্রহণের অধিকার ৷
খাজনা প্রদান করে দাখিলার মাধ্যমে জমির মালিকানা প্রমাণের অধিকার ৷
যদি কোনো ব্যক্তি খাজনা সংক্রান্ত ব্যাপারের কোন আদেশে অসন্তুষ্ট হন সেক্ষেত্রে আপিলের অধিকার ৷
(১৯৭৬ সালের ভুমি উন্নয়ন কর বিধিমালার ৭ বিধি)
রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা হওয়ার আগে নোটিশ পাবার অধিকার (যেমন ডাকযোগে/প্রকাশ্য স্থানে লটকানোর মাধ্যমে/সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির উপর টাঙ্গানোর মাধ্যমে। (১৯৭৬ সালের ভুমি উন্নয়ন কর বিধিমালার ৬ বিধি)
কোন কোন ক্ষেত্রে বিনা খাজনাতে ভোগ দখলের অধিকার:
(১৯৭৬ সালের ভুমি উন্নয়ন কর বিধিমালা)
(ক) ২৫ বিঘার কম জমি থাকলে ৷
(খ) ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী পর্যায়ে নিজে শারীরিক পরিশ্রম করে হাঁস-মুরগীর খামার/ডেইরী ফার্ম হিসাবে কোন জমি ব্যবহার করলে ৷
(গ) ৫টির কম হস্তচালিত তাঁত যদি কোন জমির উপর অবস্থিত হয় এবং তাঁতগুলি যদি জমির মালিক নিজে শারীরিক পরিশ্রম করে চালায় ৷
(ঘ) যদি কোনো জমি প্রধানত প্রার্থনার স্থান অথবা ধর্মীয় উপসনালয় অথবা সর্ব সাধারণের কবরস্থান/শশ্মান ঘাট হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে ৷
লঙ্ঘন:
খাজনা প্রদানের পর দাখিলা/রশিদ প্রদান না করা ৷
খাজনা প্রদান করে দাখিলার মাধ্যমে জমির মালিকানা প্রমাণে বাধা দেওয়া ৷
২৫ বিঘার কম জমি থাকা স্বত্বেও খাজনা দাবী করা ৷
খাজনা মওকুফের জন্য দরখাস্ত গ্রহণ না করা ।
রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা হওয়ার আগে নোটিশ প্রদান করা ৷
সংশ্লিষ্ট প্রতিকার:
আপিলের মাধ্যমে ৷
প্রতিকারের জন্য কোথায় যেতে হবে?
খাজনা প্রদান সংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে সমস্যা সৃষ্টি হলে থানা রাজস্ব কর্মকর্তা তথা সহকারী ভুমি কমিশনারের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে ৷ (১৯৭৬ সালের ভুমি উন্নয়ন কর বিধিমালার ৭ বিধি)
আপিলের সুযোগ আছে কি?
আছে ৷
খাজনা বা ভুমি উন্নয়ন কর সংক্রান্ত কোনো প্রাথমিক দাবী সম্পর্কে কোনো ব্যক্তির বা ভুমি মালিকের কোনো আপত্তি থাকলে আপত্তি দাখিল করা যাবে ৷ (১৯৭৬ সালের ভুমি উন্নয়ন কর বিধিমালার ৭ বিধি)
কোথায় আপত্তি দাখিল করতে হবে?
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অথবা জেলা প্রশাসক (ডি.সি.) এর নিকট ৷
কতদিনের মধ্যে?
১৫ দিনের মধ্যে ৷
জেলা প্রশাসকের আদেশে কোনো ব্যক্তি সন্তুষ্ট না হলে সেই আদেশের বিরূদ্ধেও আপিল করা যাবে ৷
আপিলের জন্য কোথায় যেতে হবে?
বিভাগীয় কমিশনারের নিকট
কতদিনের মধ্যে?
৪৫ দিনের মধ্যে
বিভাগীয় কমিশনারের আদেশে কোন ব্যক্তি সন্তুষ্ট না হলে সেই আদেশের বিরূদ্ধেও আপিল করা যাবে ৷
আপিলের জন্য কোথায় যেতে হবে?
ভুমি আপিল বোর্ডের নিকট ৷
কতদিনের মধ্যে?
১৫ দিনের মধ্যে
ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা সম্পর্কে বিস্তারিত:
ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদানের সুবিধা:
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই অত্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে এবং আইনী বিষয় সম্বন্ধে প্রায় অজ্ঞ থাকার কারণে বিভিন্ন বিষয় অবহেলা করে থাকে তার মধ্যে খাজনা প্রদান একটি। কিন্তু তারা জানে না যে খাজনা প্রদান করলে কি কি সুবিধা তারা ভোগ করতে পারবে। খাজনা প্রদান করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলি হলো:
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ফলে যে দাখিলা পাওয়া যায় উক্ত দাখিলা মালিকানা প্রমাণের গুরুত্ব পূর্ণ দলিল হিসাবে গন্য হয়ে থাকে।
ভূমি উন্নয়ন কর নিয়মিত প্রদান করলে রেকর্ড হাল নাগাদ (Uptodate) থাকে।
নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করলে দুষ্ট লোকেরা ভুয়া রেকর্ডের সুযোগ নিতে পারেনা। অনেক সময় একজন আরেকজনের জমি গোপনে নামজারী/রেকর্ড করিয়ে নেয়। জমির মালিক নিজের জমির খোজ খবর না রাখার কারণে ভুয়া নামজারী বা মিউটেশনের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে না।
ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ থাকলে জমি নিলাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনার হার:
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনার হার:
(যোগসূত্র স্মারক নং ভূঃ মঃ/শা-৩/কর/১০০/৯২-১০৬(১০০০) তারিখ ১৬/২/১৪০২ বাংলা মোতাবেক ৩০/৫/১৯৯৫ ইং তারিখে পাশকৃত সংশোধনী অনুযায়ী):
কৃষি জমির ক্ষেত্রে:
২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) মওকুফ করে দিয়েছে ৷
২৫ বিঘার অধিক হতে ১০ একর পর্যন্ত জমির জন্য প্রতি শতাংশ জমির জন্য ৫০ পয়সা করে ৷
১০ একরের উধ্বে হলে প্রতি শতাংশ জমির জন্য ১ টাকা হারে খাজনা দিতে হবে ৷
চা বাগান/রাবার বাগান/ফলের/ফুলের বাগানের ক্ষেত্রে:
চা বাগানের রাবার বাগান, আমবাগান অথবা ১ একরের উধ্বে কোনো জমিতে ফলের বাগান কিংবা ফুলের বাগান থাকলে জমির ক্ষেত্রে প্রতি শতাংশ জমির জন্য ১ টাকা ১০ পয়সা হারে খাজনা দিতে হবে ৷
পল্লী এলাকার আবাসিক জমির ক্ষেত্রে:
(১৯৯০ সালের ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েলের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী)।
পল্লী এলাকার বসবাসকারী কৃষি পরিবারের চাষের জমি এবং বসত বাড়ী কৃষি জমি হিসাবে গন্য করে কৃষি হারে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হবে (১৯৯০ সালের ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েলের ২৭ অনুচ্ছেদ মতে) তবে পল্লী এলাকার পাকা ভিটির বাড়ীর জন্য শতক প্রতি ৫/= হারে খাজনা দিতে হবে ৷
গুরুত্বপূর্ণ এলাকার আবাসিক জমির খাজনা:
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, মহানগরীর মত ঘনবসতি পূর্ণ এলাকার আবাসিক জমির জন্য খাজনা শতক প্রতি ২২/= এবং জেলা সদরের (ঘনবসতি জেলা ব্যতীত) পৌর এলাকার জমির জন্য খাজনার হার শতক প্রতি ৭/= এবং অন্যান্য সকল পৌর এলাকার আবাসিক জমির জন্য কর শতক প্রতি ৬/= হারে দিতে হবে যা বর্তমানেও প্রচলিত ৷
অকৃষি জমি বলতে কি বুঝায়?
কৃষি জমি বাদে অন্যান্য সকল জমিই অকৃষি কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত রাখলে তা অকৃষি জমি বলে গণ্য হবে ৷
শহর/পৌর এলাকার কোনো জমি অকৃষি কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত রাখলে তা অকৃষি জমি বলে গণ্য হবে ৷
শহর/পৌর এলাকার বাইরের কোনো জমি শিল্প বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হলে তা অকৃষি জমি বলে গণ্য হবে ৷
শিল্প/বাণিজ্য/আবাসিক বা অন্য কোনো অকৃষি কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে অধিগ্রহণকৃত জমি অকৃষি জমি হিসাবে গন্য হবে ৷
শিল্প বা বাণিজ্যিক এলাকার খাজনা:
শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ভূমির জন্য খাজনার হার যেভাবে নির্ধারিত হবে তা হলো যে পরিমাণ জায়গা শিল্প/বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয় তার খাজনা বাণিজ্যিক হারে আদায় করতে হবে ৷
যে পরিমাণ জমি আবাসিক কাজে ব্যবহৃত হবে তার খাজনা আবাসিক হারে আদায় করতে হবে ৷
অব্যবহৃত বা পতিত জমির কর কৃষি হারে (১/= প্রতি শতাংশ) আদায় করতে হবে ৷
ডেইরী ফার্ম/পোলট্রি পোলট্রি ফার্মের খাজনার হার:
সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে স্থাপিত বিভিন্ন আকারের ডেইরী বা পোলট্রি ফার্মের ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনার হার:
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী পর্যায়ে কায়িক শ্রম বা নিজস্ব শারীরিক পরিশ্রমের উপর নির্ভরশীল হাঁস মুরগীর খামার/ডেইরী ফার্মের জন্য ব্যবহৃত জমির খাজনা মওকুফ করা হয়েছে ৷
(০.৫০ হতে ১.৪৯ একর পর্যন্ত জমির মালিককে প্রান্তিক চাষী এবং ১.৫০ হতে ২.৪৯ একর পর্যন্ত জমির মালিককে ক্ষুদ্র চাষী বলা হয়)
কৃষি জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদি পশু পালন ও হাঁস মুরগি এর খামার স্থাপন করা হলে সেই জমির পরিমাণ যাই হোক বাণিজ্যিক হারে খাজনা প্রদান করতে হবে ৷
শহর, উপশহর, পৌরসভা ও উপজেলা সদরে অবস্থিত বসতবাড়ী সংলগ্ন অকৃষি জমিতে ডিম, দুধ ও মাংস উত্পাদনের লক্ষ্যে স্থাপিত খামারে দুগ্ধবতী গাভীর সংখ্যা যদি অনধিক ১৫ টি হয় এবং হাঁস মুরগীর সংখ্যা যদি অনধিক ৫০০ টি হয় তবে উক্ত খামারের জমির জন্য খাজনা আবাসিক হারে প্রদান করতে হবে ৷
সরকারী/আধা সরকারী ও স্বায়ত্ব শাসিত সংখ্যা কর্তৃক গবেষণা মূলক কাজের অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত খামারের জমির খাজনা আবাসিক হারে আদায় করতে হবে ৷
উপরে উল্লেখিত যে সকল খামারের কর বা খাজনা মওকুফ করা হয়েছে এবং যে সকল খামারের কর বা খাজনা আবাসিক হারে আদায়ের কথা বলা হয়েছে সে সকল খামার যদি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে দুধ ও মাংস প্রসেস করে বিপনন বা বিক্রির ব্যবস্থা করে তবে উল্লেখিত খামারের জমির খাজনা বাণিজ্যিক হারে আদায় করতে হবে ৷ উল্লেখ্য যে এসব খামারের গোচারন ভূমি বা হাঁস মুরগির খাদ্য উত্পাদনে ব্যবহৃত জমির খাজনা আবাসিক হারে আদায় করতে হবে ৷
তবে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং হাঁস মুরগির খামার গবাদি পশুর খামারকে প্রতিষ্ঠা করতে এবং প্রকৃত ব্যবহার নিশ্চিত করতে সকল খামারের ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা কৃষি হারে ধার্য্ হবে এবং তা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৪/৯/১৪০৩ বাংলা ২৮/১২/১৯৬ ইংরেজি তারিখের স্মারক নং ভূঃ মঃ / শাঃ-৩ / কর-৫৮/৯৬-২৫৩ (৬৪) স্মারক মতে ১৯৯৬ সাল হতে অদ্যবধি কার্যকর আছে ৷
এছাড়া আরও বলা হয়েছে যে খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম সুইমিং পুল, শরীর চর্চা কেন্দ্র এবং সরকারীভাবে বিহিত সকল ক্রীড়া চত্বরের খাজনা আবাসিক হারে আদায় করতে হবে ৷
[ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৪/৯/১৪০৩ বাংলা ২৮/১২/১৯৯৬ ইংরেজি তারিখের স্মারক নং ভূঃ মঃ/শাঃ-৩/কর-৫৮/৯৬-২৫৩ (৬৪)}মতে।]
হস্ত চালিত তাঁত ঘরের জমির খাজনার হার:
যদি কোনো তাঁত ঘর তাতীর নিজস্ব বসতবাড়ীর অভ্যান্তরে বা গৃহ সংলগ্ন হয় এবং তাঁতের সংখ্যা যদি সর্বাধিক ৫টি হয় এবং তাঁতগুলি যদি সম্পূর্ণ হস্তচালিত ও তাঁতীর নিজস্ব বা পরিবার ভুক্ত সদস্যের শ্রমে চালিত হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে হস্তচালিত তাঁত শিল্প যে জমির উপর অবস্থিত উক্ত জমির কর আবাসিক হারে আদায় করতে হবে৷
উল্লেখ্য যে, যে ক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা মওকুফের আওতাভুক্ত কৃষি পরিবার যদি কৃষি কাজের অতিরিক্ত পেশা হিসাবে বসত ভিটার ভিতরে ৫ টির কম সংখ্যক হস্ত চালিত তাঁত ব্যবহার করে কাপড় তৈরী করে তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা দিতে হবে না ।
কিন্তু যদি উপরোক্ত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য সকল ক্ষেত্রে তাঁতের সংখ্যা ৫টি অধিক হলে এবং পারিশ্রমিকের (মজুরীর) ভিত্তিতে বাইরের লোক নিয়োগ করলে, অথবা শক্তিচালিত তাঁত ব্যবহার করলে বা তাঁতীর বসত বাড়ীর অংশ বিশেষে বাণিজ্যিক কার্যক্রম থাকলে ঐ জমির জন্য ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা বাণিজ্যিক হারে দিতে হবে৷
সূত্র-১৯.০৩.১৯৯৪ইং তারিখের স্মারক নং - ভূঃ মঃ/শা-৩/কর/৮/৯৩/১৭৭(৬৪)
গোরস্থান, শশ্মানসহ ধর্মীয় স্থানের খাজনা মওকুফের আইন:
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো মালিক বা অকৃষি প্রজার কোনো জমি যদি প্রধানত প্রার্থনার স্থান অথবা ধর্মীয় উপসনালয় অথবা সর্ব সাধারণের গোরস্থান/কবরস্থান (Public Graveyard) অথবা সর্ব সাধারণের শশ্মন (Public Graveyard Ground) হিসাবে ব্যবহৃত হলে উক্ত ব্যক্তি তার উক্ত জমির খাজনা মওকুফের জন্য নির্ধারিত ফরমে ডেপুটি কমিশনার (জেলা প্রশাসক) এর নিকট আবেদন করতে পারবেন ৷
জেলা প্রশাসক (ডি.সি সাহেব) অত্র ধারার ২ উপধারা মতে দরখাস্ত গ্রহণ করে ৩ মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় তদন্ত কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করবেন ৷
যদি গোরস্থান/সর্ব সাধারণের শশ্মান বা ধর্মীয় উপসনালয়ের জায়গাটুকু কোনো হোল্ডিং বা টেনান্সির অংশ হয় তাহলে জেলা প্রশাসক এই গোরস্থান/শশ্মান/ধর্মীয় উপসনালয়ের অংশটুকু সংশ্লিষ্ট হোল্ডিং বা টেনান্সি থেকে পৃথক করে খাজনা নির্ধারণ করবেন ৷ ( উপধারা-৩ )
প্রতিকার: যদি কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসক (ডি.সি) বা ডেপুটি কমিশনারের খাজনা সংক্রান্ত আদেশে সংক্ষুদ্ধ হন তাহলে উক্ত আদেশের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল করতে পারবেন
{১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ধারা ১৫১ (৬)}
যদি কোন ব্যক্তি ৬ উপধারা অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনারের আদেশে সন্তুষ্ট না হন তাহলে উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ৬০ দিনের মধ্যে ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশনের জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন ৷ [১৫১ এ (৬) ধারা]
অত্র, আইনের ১৫১ এ (৮) ধারায় বলা হয়েছে যে, ভূমি প্রশাসন বোর্ড স্ব-উদ্যোগেও যে কোন সময় বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন আদেশকে রিভাইজ (পুনঃ নিরীক্ষণ) করতে পারেন ৷
উল্লেখ্য যে, খাজনা মওকুফের আদেশটি আদেশ দানের তারিখের পরবর্তী কৃষি বছর তথা বাংলা সাল এর প্রথম হতে কার্যকরী বা শুরু হবে৷ [১৫১ (এ) ৯ ধারা]
যদি পরবর্তীতে কোনো জমি গোরস্থান/শশ্মান/ধর্মীয় উপসনালয় হিসাবে ব্যবহৃত না হয় সেক্ষেত্রে খাজনার পরিমাণ ও সংক্ষুদ্ধ হলে প্রতিকার:
যদি কোনো জমি ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ (এ) ধারার উদ্দেশ্যে তথা ঐ জমিটি যদি গোরস্থান/শশ্মান/ধর্মীয় উপসনালয় (মসজিদ/মাদ্রাসা/ মন্দির/ঈদগাহ মাঠ/গীর্জা/প্যাগোন্ডা) এর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না হয় অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় সেক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার বা জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঐ জমির পার্শ্ববর্তী এবং সম শ্রেণীর জমির খাজনার হারের প্রতি লক্ষ্য রেখে ন্যায় ও ন্যায্য খাজনা পুনঃনির্ধারণ করবেন ৷ তবে এক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার/অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (রাজস্ব) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে কমপক্ষে ১৫ দিনের সময় দিয়ে খাজনা পুনঃনির্ধারনের জন্য যে শুনানী হবে তাতে উপস্থিত থাকতে বলতে হবে নতুবা নতুন খাজনা পুনঃনির্ধারণ করতে পারবেন না ৷ [১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১বি (১) ধারা]
প্রতিকার:
কোনো ব্যক্তি যদি জেলা প্রশাসক কর্তৃক খাজনা পুনঃনির্ধারণের আদেশে সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ বি (২) উপধারা মতে ৩০ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল করতে পারবেন ৷
যদি কোনো ব্যক্তি বিভাগীয় কমিশনারের প্রদত্ত আদেশেও সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি উক্ত আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ৬০ দিনের মধ্যে ভূমি প্রশাসন বোর্ডের বরাবরে আদেশটি রিভিশন (পুনঃনিরীক্ষন) এর জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন ৷ উল্লেখ্য যে ভূমি প্রশাসন বোর্ডের আদেশই চূড়ান্ত বলে গন্য হবে ৷
অত্র ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ বি (৪) উপধারায় বলা হয়েছে যে পুনঃ নির্ধারিত খাজনা পুনঃ ধার্যের তারিখের পরে পরবর্তী কৃষি বছর তথা বাংলা সাল এর প্রথম থেকে কার্যকর হবে এবং পরিশোধ যোগ্য বলে বিবেচিত হবে ৷
সূত্রঃ (১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ ধারা)।
২৫ বিঘার বেশী জমি থাকলে বিররনী দাখিলের বিধান:
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশান এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ ধারার ডি উপধারায় বলা হয়েছে যে, যদি কোনো কৃষি জমির মালিকের ২৫ বিঘার বেশী কৃষি জমি থাকে বা মালিক হওয়া মাত্র তাকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে রাজস্ব কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট জমির বিবরণ দাখিল করতে বাধ্য ৷
অত্র আইনের ১৫১(ই) ধারায় বলা হয়েছে যে, যদি কোন ব্যক্তি ২৫ বিঘার বেশী কৃষি জমির মালিক হয়ে থাকেন এবং উক্ত জমির বিবরনী দাখিল না করেন কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে জমির তথ্য গোপন করেন তাহলে তাকে শাস্তি সর্ব্বোচ্চ ১০০০/= টাকা জরিমানা দিতে হবে ৷
অত্র আইনের ১৫১ (এইচ) ধারায় আরো বলা হয়েছে যে, বিবরনী বহির্ভূত জমি সরকার বরাবরে বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে ৷
(১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশান এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ ধারার ডি,ই,এইচ, উপধারা)
২৫ বিঘার বেশী জমির বিবরণী কমিয়ে আনার বিধান:
২৫ বিঘা কিংবা ৮.২৫ একর জমির মালিক বা ২৫ বিঘা জমির বেশী মালিকের তথা বিবরণী দাখিলকারীর মৃত্যুর ফলে অথবা জমি বিক্রয়, দান ওয়াকফ ইত্যাদির ফলে অথবা কোনো ভাবে জমি হস্তান্তরের ফলে যে কোন সময় জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার নীচে নেমে গেলে ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ ধারার (আই) উপধারা মতে জমির মালিক অথবা তার উত্তরাধিকারীগণ সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট ২৫ বিঘা জমির বিবরণী কমিয়ে আনার জন্য তথা বিবরনী ভাংগার জন্য আবেদন করতে হবে ৷ উক্ত আবেদন পাবার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রয়োজনীয় তদন্ত করে এবং শুনানীর ব্যবস্থা করে যথাযথ মনে করলে বিবরণী সংশোধন বা ভাংগার বা বিবরণী কমিয়ে আনার আদেশ দিবেন ৷
উল্লেখ্য যে, ভূঃ মঃ/শা-৩/কর/৮/৯১-১৩২(৬০০) নং স্মারক তারিখ ২০/০১/১৩৯৮ বাংলা, ৪/৫/১৯৯১ ইং তারিখের স্মারকে বলা হয়েছে যে, ১৩৯৮ সালের ১লা বৈশাখ হতে ২৫ বিঘা বা ৮.২৫ একর পর্যন্ত কৃষকদের কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা মওকুফ ঘোষণা করা হয়েছে ৷
সুতরাং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক বিবরণী ভাংগার আদেশ দানের ফলে আবেদনকারীর কৃষি জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার কম হলে তিনি ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা মওকুফের সুবিধা পাবেন ৷
তবে জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার নীচে নেমে গেলেও তা রাজস্ব কর্তৃপক্ষকে না জানানো পর্যন্ত জমির মালিককে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পূর্বের বিবরণী মোতাবেকই দিতে হবে ৷
অনেক কৃষি জমির মালিকই খাজনা মওকুফের সুবিধা লাভের আশায় প্রতারণা মূলক ভাবে বিবরণ দাতা বেঁচে থাকা কালেই নিজ সন্তান সন্তোতির মধ্যে জমি বন্টন করে জমি ২৫ বিঘার নীচে কমিয়ে আনলেও আইনগত ভাবে কর বা খাজনা মওকুফের সুবিধা পাওয়া যাবে না ৷
বিবরণভুক্ত কোনো মালিকের জমি যদি কেউ ক্রয় করে তাকে (ক্রেতাকে) তার নিজের নামে উক্ত জমির নাম জারী করে আলাদা না করা পর্যন্ত ক্রেতাকে পূর্বের বিবরণী মোতাবেকই উক্ত জমির খাজনা প্রদান করতে হবে ৷
তাই বিবরণী ভুক্ত জমি কেনার আগে ঐ জমির ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা বাকী আছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে নচেত্ সমস্যার সম্মুখীন হওয়াই স্বাভাবিক
(১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ ধারার (আই) উপধারা)
বিবরনী ভাংগার আবেদন ১লা কার্তিকের পূর্বে দাখিলের ফলাফল:
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ (আই) ধারার উপধারায় বলা হয়েছে যে, বিবরণী ভাংগার আবেদন যদি বছরের ১লা কার্তিকের আগে রাজস্ব অফিসারের বরাবরে দাখিল করা হয় এবং আবেদনটি যদি মঞ্জুর হয় তাহলে উক্ত আদেশটি ১লা কার্তিক হতে কার্যকর হবে ৷ অর্থাত্ যে বাংলা সালে আবেদনটি দাখিল করা হয়েছে সেই বছরের প্রথম ৬ মাসের খাজনা প্রদান করতে হবে তবে যদি পূর্বের কোনো বকেয়া খাজনা থেকে থাকে তা এই ৬ মাসের খাজনার সাথে প্রদান করতে হবে ৷
(১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ ধারার (আই) উপধারা)।
১লা কার্তিকের পরে আবেদন দাখিল:
১লা কার্তিকের পরে বিবরণী ভাংগার আবেদন দাখিল করলে এবং তা যদি মঞ্জুর করা হয় তাহলে সেই মঞ্জুরকৃত আদেশটি পরবর্তী বছরের ১লা বৈশাখ হতে কার্যকর হবে৷ অর্থাত্ যে বছর ১লা কার্তিকের পরে বিবরণী ভাংগার আবেদন করা হয়েছে সে বছরের পুরো ১২ মাসেরই খাজনা পরিশোধ করতে হবে তবে বকেয়া থাকলে উক্ত বকেয়াও একসাথে পরিশোধ করতে হবে৷
সুতরাং কর বা খাজনা মওকুফের সুবিধা গ্রহণ করার জন্য কোন কৃষি জমির মালিকের জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার কম হলেই তথা বিবরণী ভাংগার উপযোগী হওয়া মাত্রই উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে যথাযথ ফরমে বিবরণী ভাংগার আবেদন করা উচিত এবং আবেদন দাখিলের পর দাখিলের তারিখ দিয়ে তার একটি রিসিভ কপি সংগ্রহে রাখতে হবে৷ যার সুবিধা হলো পরবর্তীতে আবেদনটি মঞ্জুর হতে দেরী হলে বা আবেদনটি অফিস হতে হারিয়ে গেলে ঐ রিসিভ কপি দেখিয়ে প্রমাণ করতে পারলে তা দাখিলের তারিখে হতেই কার্যকরী হবে৷
(১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ১৫১ ধারার (আই) উপধারা)
খাজনা বকেয়া রাখার কুফল:
ভূমি উন্নয়ন কর বার্ষিক ভিত্তিতে দিতে হয় ৷ প্রতি বছরের ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা যথাসময়ে নিয়মিত পরিশোধ করলে কোনো সুদ (Interest) দিতে হয় না ৷ যদিও ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) অন্য যে কোনো ধরনের করের তুলনায় কম তথাপিও খাজনা বকেয়া পড়তে থাকলে সুদের হার জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে ৷ বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন করের উপর ধার্যকৃত সুদের হার ৬.২৫% টাকা ৷
যদি ভূমি উন্নয়ন কর ১ বছরের বকেয়া হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বাংলা সালের ৩০শে চৈত্রের পরই উক্ত কর বকেয়া বলে গন্য হবে এবং মূল পাওনাকৃত করের সাথে ৬.২৫ হারে সুদ যোগ হবে এবং যত বছরের কর বাকী থাকবে ততগুন সুদ বেশী হবে এবং মূল করের সাথে যুক্ত হবে ৷
উদাহরণ: মনে করি রহিম নামের একজন কৃষি জমির মালিক কে প্রতি বছরে ১০০/= খাজনা দিতে হয় যদি রহিমের খাজনা ৬ বছর যাবত বকেয়া থাকে তাহলে তাকে বর্তমানে কত টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হবে? (১৪০৭-১৪১২)
উত্তর: ৬ বছরের মধ্যে শেষ বছরটিকে তথা ১৪১২ সালকে যদি হাল সন ধরা হয় তাহলে পূর্বের ৫ বছরের করের সাথে জ্যামিতিক হারে সুদ দিতে হবে ৷
সুতরাং ১০০ x ৬ = ৬০০ টাকা ৷
১৪১১ সাল বা ৫ম বছরের জন্য সুদ হবে = (১০০ x ৬.২৫% x ১) = ৬.২৫ টাকা
১৪১০ সাল বা ৪র্থ বছরের জন্য সুদ হবে = (১০০ x ৬.২৫% x ২) = ১২.৫০ টাকা
১৪০৯ সাল বা ৩য় বছরের জন্য সুদ হবে = (১০০ x ৬.২৫% x ৩) = ১৮.৭৫ টাকা
১৪০৮ সাল বা ২য় বছরের জন্য সুদ হবে = (১০০ x ৬.২৫% x ৪) = ২৫ টাকা
১৪০৭ সাল বা ১ম বছরের জন্য সুদ হবে = (১০০ x ৬.২৫% x ৫) = ৩১.২৫ টাকা
সুতরাং রহিম কে (১৪০৭-১৪১২ সাল) মোট ৬ বছরের জন্য মোট (৬০০+৬.২৫+১২.৫০+১৮.৭৫+২৫+৩১.২৫)= ৬৯৩.৭৫ টাকা বকেয়া খাজনা পরিশোধ করতে হবে ৷
খাজনা প্রদান বিষয়ে যা জেনে রাখা ভালো:
দাখিলা: ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে সমমূল্যের একটি খাজনা প্রদানের রশিদ কে বুঝায় ৷ খাজনা প্রদান করার পর খাজনা প্রদানকারী এরূপ একটি রশিদ পাওয়ার অধিকারী হয় উক্ত রশিদটি জমির স্বত্ব ও দখল প্রমাণের জন্য প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষ্য হিসাবে আদালতে গণ্য হয় ৷ এমনকি ব্যাংক ঋণ গ্রহণ বা বাড়ীর প্ল্যান পাশ করার ক্ষেত্রেও খাজনা প্রদানের রশিদটি প্রয়োজন হয়ে থাকে ৷ সুতরাং এক কথায় দাখিলা বলতে আমরা খাজনা প্রদানের রশিদকেই বুঝি যা মালিকানা বা স্বত্ব হাল নাগাদ করনের প্রমাণ পত্র বলে গণ্য ৷
মওকুফ দাখিলা: ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ হয়ে থাকলে উক্ত মওকুফাধীন কৃষি জমির মালিকগণ প্রতি খতিয়ানের জন্য ২/= টাকা হারে রশিদ খরচ দিয়ে মওকুফ দাখিলা গ্রহণ করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে মওকুফ দাখিলা যে বছরের জন্য দেয়া হবে সেই বছর উল্লেখ করে এবং জমির শ্রেণী নিশ্চিত হয়ে দিতে হবে ৷
এজমালী জোতের আংশিক কর আদায় ও সার্টিফিকেট সংশোধন: যদি কোনো জমিতে এজমালী জোতের সহ অংশীদার থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে এজমালী জোতের সহ অংশীদারদের মধ্যে যে কোনো অংশীদারের ভূমি উন্নযন কর বা খাজনা আংশিকভাবে আদায় করা যাবে৷ যদি কোনো এজমালী জোত বা জমির উপর কোন সার্টিফিকেট মামলা দায়ের হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে যদি কোনো সহ অংশীদার তার অংশের খাজনা পরিশোধ করতে আগ্রহী হন সেক্ষেত্রে সহ অংশীদারের খাজনা গ্রহণ করে তার নাম সার্টিফিকেট মামলা থেকে বাদ দিয়ে সার্টিফিকেট সংশোধন করতে হবে ৷
উক্ত আদেশটি ১২/৪/১৯৮৮ ইং তারিখর স্মারক নং-ভূ:ম:/শা-৩/১৫-৯১/৮৮/৪৩১, মতে কার্যকর করা হয়েছে ৷
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস