০৭ টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত দশমিনা তেতুলিয়া নদীর তীরে বাংলাদেশের একটি উপকুলীয়ও উপজেলা। এখানে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বীজ বর্ধন খামার। এখানে জন্মেছেন অনেক বিখ্যাত মানুষ। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন মিলেমিশে বসবাস করে আসছেন সুদুর অতীতকাল থেকে। একইসাথে এই উপজেলার মানুষ সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করে আসছেন। অধিবাসিদের বেশির ভাগই মৎস্য ও কৃষিজীবী। এটি একটি দুর্যোগ প্রবন এলাকা। সিডর, আইলা,মহাসেন দরিদ্র ক্লিষ্ট মানুষগুলোর স্বপ্ন চুরমার করে দেয় প্রায়শই। তারপরও নতুন আশা নতুন উদ্দীপনা বুকে নিয়ে আবার বেঁচে থাকার তাগিদে তেতুলিয়া নদীতে জাল ফেলে। স্বাধীনতার পর হতে উন্নয়নের দিক থেকে দেশের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় দশমিনা উপজেলা পশ্চাৎপদ, কিন্তু বিপুল সম্ভাবনাময়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উপজেলা প্রশাসন অন্যতম। এটি উপজেলা পর্যায়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজসমূহ সম্পাদনের মূল কেন্দ্রবিন্দু। উপজেলা প্রশাসন উপজেলার জনগণের সাথে এবং সরকারের কেন্দ্রীয় অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে থাকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে গৃহীত সরকারী বিভিন্ন উন্নয়নের কার্যক্রমের বাস্তবায়ন ও সমন্বয় করে থাকেন।
এই উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে। মাদক, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবর্তিত ওয়েবসাইট হালনাগাদকরণ ও শেখ রাসেল আইসিটি ক্লাব কার্যকর করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সরকারি নির্দেশনার প্রচার, বাস্তবায়ন, জনগণের অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম শোকেসিং করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ও বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উপজেলার উন্নয়ন তহবিল, রাজস্ব তহবিল, টি আর, কাবিখা, অতি দারিদ্যের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি, খাদ্য বান্ধব কর্মসুচি, সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে। উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
দশমিনার স্থানীয় সমস্যা তৃণমূল স্তর হতে চিহ্নিত করে জনগণের চাহিদা অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করণের মাধ্যমে সমন্বিত প্রচেষ্টায় সমাজ কাঠামোর প্রতিটি স্তরে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন সম্ভব। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ও সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে এ উপজেলাকে একটি উন্নত মডেল উপজেলা হিসেবে রূপান্তর করা খুব দ্রুতই সম্ভব। সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ এবং দশমিনাবাসীর সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
নিরন্তর শুভেচ্ছা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
দশমিনা,পটুয়াখালী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস